`আমি বিশ্বাস করি ব্যবসা মানে নিজের স্বাধীনতা’ : রোমানা নীড়

অর্ন্তজালে যেখানে অনেকেই নিজের ঢোল পিটাতে বেশি ব্যস্ত সেখানে সবসময় নিজেকে লুকিয়ে রাখতেই বেশি আগ্রহী চিত্রনায়িকা রোমানা নীড়। সম্প্রতি নিজের ফ্যাশন হাউজ ডিভাস নিয়ে ফেইসবুকে বেশ সরব হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার ইয়ং বিগ্রেডের এই আবেদনময়ী সুন্দরী। নিজের ফ্যাশন হাউজ ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে ট্রেন্ডিরিডারডটকমের সঙ্গে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: হঠাৎ নায়িকা থেকে ব্যবসায়ী বনে গেলে কেন?

রোমানা নীড়: আমি সিনেপাড়ার মানুষ বা চলচ্চিত্রের নায়িকা বলে ব্যবসা করতে পারবো না, কিংবা ব্যবসার প্রতি আমার কোনো আগ্রহ থাকবে না বিষয়টা মোটেই এমন নয়। ব্যবসাটা আমার ব্যক্তিগত আত্নতৃপ্তির জন্য করা। আমি বিশ্বাস করি ব্যবসা মানে নিজের স্বাধীনতা।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: প্রতিষ্ঠানের নাম ডিভাস কেন?

রোমানা নীড়: এই প্রতিষ্ঠানের (ডিভাস) সঙ্গে জড়িত আমরা দুইজনই সুন্দরী ও সুন্দর মনের অধিকারী। আমরা দুইজন সবসময় বিশ্বাস করি আমরা রুচিশীল ও আনিন্দ্য সুন্দরী। তাই প্রতিষ্ঠানের নাম ডিভাস।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: নীড় তোমাদের সাতজনের একটি গ্রপ আছে। সেখান থেকে আচলকে নিয়ে কেনো ডিভাস প্রতিষ্ঠিত হলো?

রোমানা নীড়: আমার ও আচলের মনমানুষিকতা মিলে যায় তাই…

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: ডিভাস কি অনলাইনে হঠাৎ করে তৈরি হওয়া ফেইসবুক পেইজ ভিত্তিক কোন প্রতিষ্ঠান?

রোমানা ইসলাম নীড়: মোটেই না। ডিভাস ব্যাঙের ছাতা মত গজিয়ে ওঠা কোন প্রতিষ্ঠান নয়। যা ফ্রাইডে টু ফ্রাইডে আওয়াজ দিয়েই হাওয়া হয়ে যাবে। আমরা প্রথমেই নিজস্ব শোরুম দিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। পরবর্তীতে আমরা সোস্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ব্যবসার প্রচারের লক্ষ্যে ফেইসবুকেও ডিভাসের প্রচার শুরু করেছি।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: ক্রেতাদের জন্য কোন ধরনের পণ্য নিয়ে তোমরা কাজ করছো?

রোমানা নীড়: শাড়ি, জুয়েলারি, থ্রি পিস, ব্যাগ, জুতা ও স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নিয়েই মূলত কাজ করছি।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: ক্রেতারা কেন ডিভাসের পন্য ক্রয় করবেন?

রোমানা নীড়: ডিভাস সবসময় ইউনিক পণ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তৈরিও করে। ডিভাসের প্রতিটি পণ্য বিশ্বের আমরা নিজেরা বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করি। আমরা যেহেতু লেডিস আইটেম নিয়ে কাজ করি তাই আমরা সংখ্যাতত্ত্বে না গিয়ে মানসম্মত ট্রেন্ডি পণ্য সরবরাহেই বেশি আগ্রহী। তাই রুচিশীল ক্রেতারা তাদের পছন্দের ট্রেন্ডি পণ্য ক্রয়ের জন্য ডিভাসকেই বেছে নিচ্ছেন এবং আগামীতে ডিভাস আরো বেশি রুচিশীল ক্রেতাদের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হবে আমার বিশ্বাস।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: পণ্যের গুনগত মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে ডিভাস কতটা সচেতন?

রোমানা নীড়: শতভাগ সচেতন। যখনই আমরা ডিভাসের জন্য কোন পণ্য নির্বাচন করি প্রথমেই সেই পণ্যটি নিজেরা আগে ব্যবহার করি। যদি আমরা সন্তুষ্ট হই তবেই কেবল তা বিক্রির জন্য নির্ধারিত হয়। বিশেষ করে স্কিন কেয়ারের সঙ্গে সম্পৃক্ত পণ্যগুলো আগে নিজেরা ব্যবহার করে সন্তুষ্ট হওয়ার পরেই তা ডিভাসের শোরুম ও ফেইসবুক পেইজে স্থান পায়।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: ডিভাসের শোরুম ও অনলাইন পেইজের মধ্যে ক্রেতাদের কেনাকাটা কোথায় সবচেয়ে বেশি?

রোমানা নীড়: বর্তমানে ডিভাসের অনলাইন পেইজে বিক্রির পরিমাণ অনেক বেশি। কারণ কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে রুচিশীল ক্রেতারা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারছে না। তাই তারা অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের দিকেই বেশি ঝুকছেন। যেহেতু ডিভাস ইউনিক পন্য সরবরাহ করছে তাই অনলাইনে পন্য কেনার ইতিবাচক হাওয়া ডিভাসের গায়েও লেগেছে।

ট্রেন্ডিরিডারডটকম: ডিভাসের লক্ষ্য কি?

রোমানা নীড়: আমি ও আচল আমরা দুইজনই চাই ডিভাস একটা সুপরিচিত ব্যান্ড হবে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ডিভাসের শোরুম থাকবে এবং প্যারিস ফ্যাশন উইকে ডিভাস তার কালেকশন নিয়ে ফ্যাশন দুনিয়ার স্পটলাইটে থাকবে।

তানজিল আহমেদ জনি/ লাইফস্টাইল / ২১ মার্চ ২০২১

You may also like...