‘অভিনয় চর্চার মধ্যে থাকতে চাই’ : আশিক চৌধুরী
ক্যরিয়ারের শুরু থেকেই খুব সময়ের মধ্যেই বিজ্ঞাপনের মডেলিং, টেলিভিশন নাটক কিংবা ঢাকাই সিনেমায় নিজের ব্যতিক্রমধর্মী উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে সকল শ্রেণীর দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন আশিক চৌধুরী। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো তার চুক্তিবদ্ধ হওয়া ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’ সিনেমার মহরত। নতুন এই সিনেমা এবং ক্যরিয়ারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রেন্ডিরিডার ডটকমের মুখোমুখি হলেন চিত্রনায়ক আশিক চৌধুরী।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: প্রথমেই ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’ সিনেমা সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু শুনতে চাই…
আশিক চৌধুরী: এই (মন বসেছে পড়ার টেবিলে) সিনেমার গল্প হচ্ছে শহর কেন্দ্রীক। যেখানে আমি পড়ালেখার জন্য গ্রাম থেকে শহরে চলে আসি। নিজের পড়ালেখা ও হাত খরচ চালানোর জন্য টিউশনি করি। গল্পের এক পর্যায়ে আমার নায়িকার সঙ্গে প্রেম হবে। এরপর বিভিন্ন মজার সব ঘটনা ও চরম নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে এই (মন বসেছে পড়ার টেবিলে) সিনেমার কাহিনী। আর আব্দুল মান্নান পরিচালিত এই সিনেমায় আমার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন শাহ হুমায়রা সুবাহ।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: আপনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র উভয় মাধ্যমে পরিচিত মুখ হওয়ার পরেও একজন নবাগত নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধার সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?
আশিক চৌধুরী: বর্তমানে বেশিরভাগ সিনেমার অভিনেত্রী হিসেবেই নতুন মুখের জয়জয়কার। যদি উদাহরণ হিসেবে একশটা সিনেমার হিসাব করি, তাহলে দেখা যাবে নব্বইটা সিনেমার নায়িকা চরিত্রে নতুনরা অভিনয় করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুনরা খুব ভালো কাজ করছে। তাদেরকে তো অবশ্যই সুযোগ দিতে হবে। আমিও তো এক সময় নতুন মুখ ছিলাম। তাই আমি সবসময় নতুনদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করি।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: সিনেমার তুলনায় টেলিভিশন মিডিয়াতে সবচেয়ে বেশি সময় দেওয়ার কারণ কি?
আশিক চৌধুরী: অভিনয় চর্চার মধ্যে থাকতে চাই। বছরে আমার হাতে গোনা একটি বা দুইটি সিনেমায় অভিনয় করা হয়। যদি আমি সারা বছর জুড়েই সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারতাম তাহলে আমি শুধু সিনেমাতেই অভিনয় করতাম। তাছাড়া যে কোন কিছুই যদি নিয়মিত চর্চা করা না হয় তাহলে তো সেটায় মরিচা পড়ে যাবে। তাই আমাকে অভিনয় চর্চার মধ্যেই থাকতে হবে।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: আপনি বিজ্ঞাপনের মডেলিংয়ে খুব বেশি নিয়মিত না কেন?
আশিক চৌধুরী: বিজ্ঞাপনের মডেলিংয়ের শুটিং শিডিউল মিলানো নিয়ে আমার একটু ঝামেলা হয়। কারণ আমি যেহেতু অভিনয়ে নিয়মিত, সেটা নাটক কিংবা সিনেমা যেটাই হোক। ফলে বেশিরভাগ সময় আমার কাছে হঠাৎ কোন বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের জন্য শিডিউল চাইলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই শিডিউল মিলানো সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে যখনই সবকিছু ঠিকমত মিলে যায় তখনই বিজ্ঞাপনে মডেলিংয়ের কাজটা করি।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: বিজ্ঞাপনের মডেলিং এবং নাটক ও সিনেমায় অভিনয়- এই তিনটি মাধ্যমের মধ্যে আপনার মূল ফোকাস কোনটিতে?
আশিক চৌধুরী: যখন আমি ভালো অভিনয় করবো দর্শক আমার প্রশংসা করবে, আর যখন আমি খারাপ অভিনয় করবো তখন দর্শক আমার সমালোচনা করবে। তাই এই তিনটি মাধ্যমের মধ্যে অভিনয়ের প্রতি আমার মূল ফোকাস। তাই আমি যখনই যে ক্ষেত্রেই কাজ করি না কেন, আমি অভিনয়কেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে কাজ করি।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: আপনার অভিনীত মুক্তির মিছিলে থাকা সিনেমাগুলো সম্পর্কে জানতে চাই…
আশিক চৌধুরী: করোনার কারণে এই বছর আমার তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়নি। এগুলো হচ্ছে ‘নীল ফড়িং’, ‘শক্তি’, ‘হৃদয় ছোয়ার দিন’। তবে কবে নাগাদ আমার এই সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে এখনই কোনো কিছু নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না।
ট্রেন্ডিরিডার ডটকম: এ সময়ের ব্যস্ততা…
আশিক চৌধুরী: নতুন সিনেমাকে ঘিরেই ব্যস্ততা চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই সপ্তাহেই শুরু হবে ‘মন বসেছে পড়ার টেবিলে’ সিনেমার শুটিং।
তানজিল আহমেদ জনি/২০ ডিসেম্বর ২০২০/সাক্ষাৎকার/বিনোদন